কবুতরের গ্রীষ্মকালীন ছক

কবুতরের গ্রীষ্মকালীন ছকঃ (Summer chart) ---সংশোধিত...! সাল্মনিলা কোর্স...!
“তুমি বল, আমি আমার নিজের ক্ষতি কিংবা লাভেরও মালিক নই, কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যই একেকটি ওয়াদা রয়েছে, যখন তাদের সে ওয়াদা এসে পৌঁছে যাবে, তখন না একদন্ড পেছনে সরতে পারবে, না সামনে ফসকাতে পারবে।“(সূরা ইউনুস:আয়াত-৪৯)
একবার এক কাকের মনে দুঃখ আসল যে, সে দেখতে সুন্দর না তাই সে খুজতে লাগল তার থেকে সুন্দর কে? দেখল একটা সাদা রাজ হাঁস তাকে দেখে সে মুগ্ধ হয়ে গেল এত সুন্দর...! তাকে সে জিজ্ঞাস করল ভাই তুমি এত সুন্দর কিভাবে...? রাজহাঁস জবাব দিল ভাই আমিও তমারি মতই নিজেকে সুন্দর ভাবতাম...! যতদিন না সবুজ লাল টিয়াপাখিকে দেখলাম...! টিয়ার সৌন্দর্যের কাছে আমার সৌন্দর্য কিছুই না...! কাঁক এ কথা শুনে টিয়ার কাছে গেল তার সৌন্দর্য দেখতে...! তাকে সে জিজ্ঞাস করল ভাই তুমি এত সুন্দর কিভাবে...? টিয়াপাখি ভুরু কুচকে জবাব দিল ভাই আমিও এতদিন নিজেকে সুন্দরই ভাবতাম...! যতদিন না রঙ্গিন ময়ুরকে দেখলাম...! ময়ুরের সৌন্দর্যের কাছে আমার সৌন্দর্য কিছুই না...! কাঁক এ কথা শুনে ময়ুরের কাছে গেল তার সৌন্দর্য দেখতে...! কাঁক দেখল যে, ময়ুর একটা চিরিয়াখানার বড় খাঁচাতে বন্দি আর অনেক মানুষ তাকে দেখছে...! কাঁক যার পনায় না খুশি ও আবেগে আপ্লুত হল...! এত সুন্দর হয় নাকি কেউ...?! কাঁক আরও দেখল যে, অনেক চিরিয়াখানার লোকজন তার আত্তিযত্নে ব্যাতিব্যাস্ত...! সে আরও হতাস হল...! তার যত্ন নেবার কেউ তো নেই বরং তাকে দেখলেই লোকজন দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়...! তার দুই চোখ ভরে আসল...! কষ্টে দুঃখে রাগে আর বেদনা আর হতাশাতে...! সে অপেক্ষা করতে লাগল ময়ুরের সাথে একটু কথা বলার জন্য...! সন্ধ্যার একটু আগে দিয়ে সে সুযোগ পেল...! সে ময়ুর কে জিজ্ঞাস করল... ভাই তুমি এত সুন্দর কিভাবে...? ময়ুর তার দিকে তাকিয়ে থাকল অনেকক্ষণ... ! তার উত্তর না পেয়ে আবার জিজ্ঞাস করল বাই কিছু বলছ না কেন...! আমি কি তোমাকে কোন...অপরাধ করেছি...? ময়ুর তার দীর্ঘশ্বাস গোপন করে বল্ল...ভাই আমার সৌন্দর্যই তো আমার কাল...দেখন না আমার নিজের কোন স্বাধীনতা নাই সারাদিন লোকের নজরদারিতে থাকতে হয়। আর তোমাকে দেখ...তুমি কত স্বাধীন ...কেউই তোমাকে খাঁচাতে পালার কথা চিন্তাও করে না...তুমি যেখানে মন চাই উরাল দিয়ে চলে যেতে পার কিন্তু আমাকে দেখ।। আমি চাইলেও কিছুই করতে পারি না আমার স্বাধীন ইচ্ছে মত...! তাই তো তোমার স্বাধীনতা দেখে মনে ইচ্ছে হয় আহ যদি কাঁক হতাম...! কাঁক তার আসল কথা বুঝতে পারল...মনের আনন্দে ও সুখে সে তার হেঁড়ে গলায় জ্ঞান গায়তে গায়তে চলে গেল... ! সে খেয়ালই করল না যে ময়ুরের যে দু চোখ জলে ভরে গেছে...নিজের অজান্তেই!
কবুতর পালন করতে গিয়ে আমরা অনেক কাজ করে থাকি আসল কাজ বাদ রেখেই...! এই সেক্টরে সবাই সব জান্তা এমন লোক খুজে পাওয়া যাবে না যে সে জানে না...জাকেই জিজ্ঞাস করবেন কোন সমস্যা দেখবেন সমধান হাজির...! কাজ হলে ভাল না হলে আপনার কবুতরের হায়াত ছিল না তো তাই মারা গেছে...! আমরা অনেক শিক্ষিত লোক কবুতর পাল্টে আসে অশিক্ষিত মানুষের মত আচরন করে থাকি...! কেন জানি...জার কারণ জানা নাই।।জায় হোক আপনি একজন সফল খামারি হরে গেলে আপনার কিছু সাধ্রন জ্ঞান থাকতে হবে... যার এই জিনিসটা আছে সে, সফল হবে কোন সন্দেহ নাই। আপনি যদি এই ছক অনুসরণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু সর্ত মেনে চলা দরকার। তানা হলে হয়ত আপনি শতভাগ ফলাফল পেতে নাও পারেন।
শর্ত ঃ ১) টিউব ওয়েল বা ফিল্টার বা ফুটানো পানি সরবরাহ করতে হবে। ২) পানি ও খাবারের বাটি ঠিক মত প্রতিদিন ধুতে হবে।৩) খাবার ঝেড়ে দিবার ব্যাবস্থা করতে হবে ও মাঝে মাঝে হালকা গরম করে নিলে ভাল। ৪) ভাল মানের পরিস্কার গ্রিট সরবরাহ করতে হবে।৫) খামার নিয়মিত পরিস্কার ও জীবাণু নাশক ছিটাতে হবে। ৬) অসুস্থ কবুতর কে তাড়াতাড়ি খামার থেকে সরানর ব্যাবস্থা করতে হবে।৭) অসুস্থ কবুতর কে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিটির জন্য আলাদা সিরিঞ্জ ব্যাবহার করতে হবে। অনেকেই আছেন যে ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ্য টাকার কবুতর পালেন কিন্তু ৫ টাকার সিরিঞ্জ কিনতে কৃপণতা করে থাকেন। ৮) একটা কবুতর ধরার পর বিশেষ করে সেটি যদি অসুস্থ হয় তাহলে হাত ভাল করে ধুয়ে তারপরই অন্য কবুতর কে ধরবেন।৯) বাইরে থেকে এসে কাপড় পরিবত্তন না করে বা স্যান্ডেল পরিবত্তন না করে খামারে ঢুকবেন না অনুগ্রহ করে। ১০) খাবার রোদে দিবার সময় বা খামারে এ যেন কোন পাখি না ঢুকে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এরাই রোগের প্রাথমিক বাহক হিসাবে কাজ করে থাকে।
আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, যে এই ছক টি শুধু মাত্র একটা নির্দেশনা, আর এটি পালন করতে গিয়ে যেন আপনার মনে কোন প্রকার যেন খেয়াল না সে যে, যেহেতু আপনি ছক পালন করছেন তার মানে আপনি সকল বিপদ থেকে মুক্ত।আর আপনার খামারে রোগ হবে না। তাতে কি হবে আপনি আপনার খামারে যে, সতর্কতা পালন করা দরকার তাতে ঢিল পড়বে। যার ফলে আপনার খামারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে।
১-৫ দিনঃ সাল্মনেল্লা কোর্স- ২ টেবিল চামচ শাফি+ ২ টেবিল চামচ ফেবনিল+১ টেবিল চামচ মারভেলাস= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ৪-৫ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)। অথবা (হোমিও ব্যাপ্তেসিয়া ৩০, ১ সিসি =১ লিটার পানিতে মিক্স করেও আপনি এই কোর্স করাতে পারবেন। (বিঃদ্রঃ এই কোর্স চলাকালীন কবুতর সবুজ পায়খানা করতে পারে, আর এই অবস্থাই ঔষধ বন্ধ করা যাবে না, এটা ভিতরের জীবাণু তাকে বের করে সাহায্য করে। একটানা করাতে হবে ও ধরে খাওয়ান যাবে না ও অসুস্থ কবুতর কে খাওয়ান যাবে না, তাতে বমি করতে পারে।)
৬ দিনঃ আলভিরা ব্লেন্দ করে জুস করে বা স্যালাইন(ভেট এর) বা লেবুর রস ও লবন যোগ করে দিতে পারেন বা ভিটামিন সি প্রয়োজন মত ব্যাবহার বা প্রয়োগ করতে পারেন। (গরমের সময় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কবুতর পানি শূন্যতাই না ভুগে।)
৭-১২ দিনঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স হিসাবে (toxynil, biovit, Rena B+C) ১ সিসি/গ্রাম= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)। ( এর সাথে যদি মনে করেন রেনা কে ভিটামিন তাও মিক্স করে ব্যাবহার করতে পারেন। ১ও লিটার পানিতে ১ গ্রাম রেনা কে এই অনুপাতে প্রয়োগ করতে চেষ্টা করবেন।)
১৩ দিনঃ হোমিও Belodona 30, ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১ বার)। (বিঃ দ্রঃ প্যারামক্সি বা এই ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করবে। যারা মুরগির ভ্যাকসিন দিবার জন্য পারাপারি করেন তাদের জন্য এটি ভাল কাজ করবে।)
১৪-১৭ দিনঃক্যালসিয়াম ও ই ভিটামিনের জন্য (Calcium Forte or Calfast or Calbo D etc ) এইধরনের ভাল মানের ভিটামিন প্রয়োগ করতে পারেন, ১ সিসি/গ্রাম= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ৩-৪ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)।(বিঃদ্রঃ গরমে বেশীদিন ক্যালসিয়াম প্রয়োগ করা উচিৎ নয় এতে কবুতরের হিট স্ট্রোক হতে পারে।)
১৮ দিনঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে মাসে ১-২ দিন দিবেন।(বিঃদ্রঃ আবেগের বশে বেশি দিবার চেষ্টা করবেন না বা বেশীদিন দিবেন না তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিদেশে অসুস্থ কবুতর কে অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ২-৩ ফোঁটা মিক্স করে ঔষধের ক্রিয়া ক্ষমতা বাড়ানো হয়।)
১৯ তারিখঃ হোমিও Borax 30, ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১ বার)। (এতে আপনার খামার বায়ু বাহিত রোগ থেকে নিরাপদ থাকবে।)
২০-২৩ দিনঃ লিভার টনিক হিসাবে হামদারদ এর (Cinkara, Icturn, Karmina) একসাথে বা আলাদা ভাবেও প্রয়োগ করতে পারেন ২ টেবিল চামচ = ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ৩-৪ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)। (বিঃদ্রঃ লিভার টনিক কবুতরের জন্য একটি জরুরি উপাদান, কারণ অধিকাংশ রগেয় আগে লিভার আক্রান্ত হয় তাই যেকোনো অ্যান্টিবায়টিক ও রোগ থেকে উঠার পর বা কৃমির ঔষধ প্রয়োগের পরে লিভার টনিক দিয়া জরুরি। একটানা করাতে হবে ও ধরে খাওয়ান যাবে না ও অসুস্থ কবুতর কে খাওয়ান যাবে না, তাতে বমি করতে পারে। বা হিতে বিপরীত হতে পারে।)
২৪ দিনঃ আলভিরা ব্লেন্দ করে জুস করে বা স্যালাইন(ভেট এর) বা লেবুর রস ও লবন যোগ করে দিতে পারেন বা ভিটামিন সি প্রয়োজন মত ব্যাবহার বা প্রয়োগ করতে পারেন। (গরমের সময় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কবুতর পানি শূন্যতাই না ভুগে।)
২৫ দিনঃ হোমিও Eupatorium Perfo ২০০. ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। (মাসে ১ বার)। ( এতে আপনার খামার মশা বাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে। যেমন ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গু ইত্যাদি।)
২৬-২৮ দিনঃ মাল্টি ভিটামিন (pawer max(made in Vietnam),All Vit Ma(Made in Germany),Max grower (made in Holland) ১ সিসি/গ্রাম= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ৩-৪ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)। (বিঃ দ্রঃ ধরে খাওাবেন না বা অসুস্থ কবুতর বা পক্স এ আক্রান কবুতর কে ভিটামিন প্রয়োগ করতে যাবেন না অনুগ্রহ করে।)
২৯ দিনঃহোমিও Tiberculinum 30, ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১ বার)। (বিঃ দ্রঃ এতে করে আপনার খামার ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকতে সাহায্য করবে।)
৩০ দিনঃ রসুন বাঁটা ১ চামচ(চা) + মধু ১ চামচ+লেবুর রস ১ চামচ= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ছেকে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরবেশন করবেন ১ দিন মাসে। (বিঃদ্রঃএই কোর্স করার সময় অনেক কবুতর বমি করতে পারে যা ভয়ের কারন নাই, তবে যদি ক্রিমির কোর্স করা না থাকে, বা সাল্মনেল্লা কোর্স করা না থাকে তাহলে এই কোর্স করাবেন না অনুগ্রহ করে। ধরে খাওয়ান যাবে না ও অসুস্থ কবুতর কে খাওয়ান যাবে না, তাতে বমি করতে পারে। বা হিতে বিপরীত হতে পারে।)
৩১ দিনঃ আলভিরা ব্লেন্দ করে জুস করে বা স্যালাইন(ভেট এর) বা লেবুর রস ও লবন যোগ করে দিতে পারেন বা ভিটামিন সি প্রয়োজন মত ব্যাবহার বা প্রয়োগ করতে পারেন। (গরমের সময় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কবুতর পানি শূন্যতাই না ভুগে।)
৩২ দিনঃ হোমিও deptherinum 200 , ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১-২ বার আলাদা ভাবে।) তবে এর পরিবত্তে হোমিও Cali Mur 6x ১ টা করে ট্যাবলেট ব্যাবহার করা উত্তম। (বিঃদ্রঃএই কোর্স করার সময় পানি ১০ মিনিট এর বেশী রাখা উচিৎ না কারণ যেহেতু এই ঔষধ এই রোগের বিষ ত্থেকেই তৈরি তাই এতে রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী। সতর্কতাঃ ২ ধরনের হোমিও ঔষধ একসঙ্গে ব্যাবহার করবেন না একটানা প্রয়োগ করবেন না অনুগ্রহ করে।))
কিছু কাজ যা আপনাকে ছকের বাইরে করতে হবে আর তা হলঃ
ক) ক্রিমির ঔষধ শীতে ৪৫ দিন পর পর ও গ্রীষ্মে ২ মাস পর পর অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে।(wormazole/avinex/panacure) আদর্শ ক্রিমির ঔষধ হিসাবে দিতে পারেন। (খেয়াল রাখবেন ক্রিমির ঔষধ প্রয়োগ রাতে করুন, আর পরিমান টা নির্দিষ্ট করুন। (বিঃদ্রঃএই কোর্স করার সময় সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন না, যা কিনা সারাদিন রাখা হয়। আর মানুষের কোন ক্রিমির ঔষধ কখনও দিবেন না। আর প্রয়গের আগে ও পরে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলুন। কবুতর হালকা বমি করতে পারে। বা ঝিম ধরে থাকতে পারে। তবে আপনি যদি ছক নিয়মিত পালন করেন তবে আপনার কবুতরের এই সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা নাও যেতে পারে।)
খ) যারা pmv এর জন্য ভাক্সিন বা অন্য রোগের ভাক্সিন দিতে চান তারা একটু নিয়ম মেনে তারপরই দিবেন(আর এটা অবশ্যই বাইরের টা যদিও পক্স ও অন্য রোগের ভাক্সিন এ তেমন ভুমিকা রাখে না , আর যারা মনে করেন যে মুরগির ভাক্সিন দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন, তারা এই পোস্ট টা এড়িয়ে চলুন। কারন তাদের জন্য এই পোস্ট না।) ভ্যাকসিন সাধারণত শীতে দিয়া উত্তম। আর সেটা কবুতরের জন্য নির্ধারিত ভ্যাকসিনই দিবেন অন্য কোনটা না।
গ) আপনার কবুতর কে অবশ্যই ৩ মাস পর পর উকুন নাশক শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হবে, যাতে মাইট ও কবুতরের গায়ের মাছি থেকে নিরাপদ থাকা যায়। যা বিভিন্ন রোগের কারন হিসাবে দায়ী। সাধারন অবস্থাই প্রতি সপ্তাহে গোসল এর ব্যাবস্থা করা ভাল, আর রোগ থেকে আরোগ্য লাভের পর অবশ্যই গোসল দিয়াবেন।
ঘ) প্রবায়টিক মাসে ২ বার অবশ্যই দিবেন, সেটা প্রাকৃতিক হোক বা প্রস্তুত করাই হোক। আর অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহারের পর এটা দিতে কনদিন যেন ভুলে না জান,সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এই ছকটি কোন কোরআন বা হাদিস নয় যা পরিবত্তন করা যাবে না। এটি একটি গাইড লাইন মাত্র, আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী এর পরিবত্তন ও পরিবর্ধন করতে পারেন। অনেকেই মনে করেন যে, দিন আকারে নিয়ম টা এদিক ওদিক হয়ে গেলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে, যা আসলেই ঠিক না।, এমনকি কবুতরের অসুস্থ অবস্থাতেও এর ব্যাতিক্রম করতে চান না। অবশ্যই এগুলো প্রয়োগ করতে গিয়ে পরিবেশ পরিতস্থিতির ও আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখবেন। যাতে আপনি নিজে একজন পর নির্ভরশীল খামারিতে পরিনত না হন। বা এটা করতে গিয়ে আপনাকে আরেকজনের উপর নির্ভর করতে না হয়। এই লিখাটি যদি আপনি শেয়ার করতে চান তাহলে দোয়া করে নাম উল্লেখ করতে ভুলবেন না অনুগ্রহ করে। পরিশেষে আল্লাহ্‌ বলেন,
“তুমি মনে করো না, যারা নিজেদের কৃতকর্মের উপর আনন্দিত হয় এবং না করা বিষয়ের জন্য প্রশংসা কামনা করে, তারা আমার নিকট থেকে অব্যাহতি লাভ করেছে। বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।“((সূরা আল ইমরানঃআয়াত-১৮৮)

kf sohel rabbi